বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, যেখানে আপনি একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারেন। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে চান এমন অনেক পর্যটকের সাধারণ প্রশ্ন – বাস ভাড়া কত? কোন বাস ভালো? কেমন সময় লাগে?
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা: দূরত্ব ও সময়
দূরত্ব: প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার
গড় যাত্রা সময়: ১০–১১ ঘণ্টা (ফেরি পারাপার ও সড়কের অবস্থার ওপর নির্ভর করে)
ঢাকা টু কুয়াকাটা বাস ভাড়া ও ধরন
বাসের ধরন
আনুমানিক ভাড়া
মন্তব্য
নন-এসি বাস
৭৫০–৮৫০ টাকা
সাশ্রয়ী ও সাধারণ যাত্রীদের উপযোগী
এসি বাস
১,১০০–১,৫০০ টাকা
আরামদায়ক, কিছু ক্ষেত্রে স্লিপার বেড
জনপ্রিয় বাস সার্ভিস ও ভাড়া
বাস কোম্পানি
ধরন
ভাড়া (টাকা)
ছাড়ার স্থান
সাকুরা পরিবহন
এসি / নন-এসি
৭৫০–১,১০০
সায়দাবাদ
শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস
এসি / নন-এসি
৮০০–১,২০০
গাবতলী, কল্যাণপুর
ইউরো কোচ
এসি স্লিপার
১,০০০–১,৫০০
আবদুল্লাহপুর
হানিফ পরিবহন
নন-এসি
৮৫০
গাবতলী
দিগন্ত পরিবহন
নন-এসি
৮৫০
গাবতলী
মোল্লা ট্রাভেলস
নন-এসি
৮০০
গাবতলী
যাত্রার সময়সূচী (নির্ধারিত নয়, পরিবর্তন হতে পারে)
বাস কোম্পানি
ছাড়ার সম্ভাব্য সময়
পৌঁছানোর সময়
সাকুরা পরিবহন
সকাল ৮টা
বিকাল ৬টা
ইউরো কোচ
সন্ধ্যা ৬টা
রাত ৩টা
হানিফ পরিবহন
সকাল ৭টা
বিকাল ৫টা
শ্যামলী পরিবহন
সকাল ১০টা
সন্ধ্যা ৭টা
বুকিং পদ্ধতি
অনলাইন বুকিং: কিছু বাস সার্ভিস যেমন ইউরো কোচ, শ্যামলী, হানিফ – Busbd, Shohoz, Bdtickets এর মাধ্যমে বুকিং নেয়।
কাউন্টার বুকিং: গাবতলী, সায়দাবাদ, কল্যাণপুরের বাস কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।
অগ্রিম বুকিং: ছুটির সময় বা পর্যটন মৌসুমে অগ্রিম বুকিং করা উত্তম।
যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ পরামর্শ
বাস যাত্রার আগে সঠিক সময় ও টিকিট নিশ্চিত করুন।
এসি বাসে যাত্রা করলে মোবাইল চার্জার ও পানি সঙ্গে রাখুন।
রাতের যাত্রায় পরিচিত বা ভরসাযোগ্য পরিবহন ব্যবহার করুন।
ফেরি পারাপারের সময় কিছুটা অপেক্ষা স্বাভাবিক, তাই ধৈর্য ধরে চলুন।
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার যাত্রা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ, বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর। আপনি যদি একটি সাশ্রয়ী ভ্রমণ চান, নন-এসি পরিবহন বেছে নিতে পারেন। আরামদায়ক অভিজ্ঞতার জন্য রয়েছে এসি ও স্লিপার বাস। এই ব্লগের তথ্য আপনার ভ্রমণকে করে তুলবে ঝামেলাহীন ও উপভোগ্য।
Leave a Reply