ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় যাওয়ার জন্য যারা লঞ্চ সার্ভিস ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য একে অপরের থেকে সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ বিকল্প হিসেবে লঞ্চ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এই ব্লগে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার সময়সূচি ও ভাড়া সম্পর্কিত সঠিক এবং আপডেটেড তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যাতে আপনি সহজেই পরিকল্পনা করতে পারেন।
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা লঞ্চ সময়সূচি ও ভাড়া
নিচে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় লঞ্চ সার্ভিসগুলোর সময়সূচি ও ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো।
দিনকালীন লঞ্চ সার্ভিস
লঞ্চের নাম | গ্রিনলাইন লঞ্চ |
---|---|
যাত্রার সময় (ঢাকা) | ৮:০০ AM |
আগমনের সময় (কুয়াকাটা) | ২:০০ PM |
ভাড়া (টাকা) | ৭৫০ |
যোগাযোগ নম্বর | ০১৭৩০০৬০০৭১ |
লঞ্চের নাম | সুড়ভী লঞ্চ |
---|---|
যাত্রার সময় (ঢাকা) | ৮:৩০ PM |
আগমনের সময় (কুয়াকাটা) | ৫:০০ AM |
ভাড়া (টাকা) | ৫০০–৫০০০ |
যোগাযোগ নম্বর | ০১৭১৮৪৫৩৯৮৯৯ |
রাতকালীন লঞ্চ সার্ভিস
লঞ্চের নাম | এমভি কির্তনখোলা |
---|---|
যাত্রার সময় (ঢাকা) | ৭:৪৫ PM |
আগমনের সময় (কুয়াকাটা) | ১১:০০ AM |
ভাড়া (টাকা) | ৮০০–১৬০০ |
যোগাযোগ নম্বর | ০১৭৭৮৭৮৬৯৫৪ |
লঞ্চের নাম | সিরাজদিখান লঞ্চ |
---|---|
যাত্রার সময় (ঢাকা) | ৭:৪৫ PM |
আগমনের সময় (কুয়াকাটা) | ১১:০০ AM |
ভাড়া (টাকা) | ৩০০–৫০০০ |
যোগাযোগ নম্বর | ০১৭১১৩৩০৬৪২ |
লঞ্চের নাম | পারাবত লঞ্চ |
---|---|
যাত্রার সময় (ঢাকা) | ৮:৪০ PM |
আগমনের সময় (কুয়াকাটা) | ১০:০০ AM |
ভাড়া (টাকা) | ৩০০–৫০০০ |
যোগাযোগ নম্বর | ০১৭১১৩৩০৬৪২ |
লঞ্চের নাম | ডিপ্রাজ লঞ্চ |
---|---|
যাত্রার সময় (ঢাকা) | ৫:৪৫ PM |
আগমনের সময় (কুয়াকাটা) | ৭:০০ AM |
ভাড়া (টাকা) | ৮০০–১৬০০ |
যোগাযোগ নম্বর | ফেরিঘাটে সরাসরি যোগাযোগ |
দ্রষ্টব্য: ভাড়া এবং সময়সূচি লঞ্চের ধরন এবং বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই যাত্রার আগে নির্দিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে হালনাগাদ তথ্য নিশ্চিত করা উচিত।
যোগাযোগের তথ্য
আপনার যাত্রা পরিকল্পনা করতে হলে নিচে দেওয়া যোগাযোগ নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন:
লঞ্চের নাম | যোগাযোগ নম্বর |
---|---|
গ্রিনলাইন লঞ্চ | ০১৭৩০০৬০০৭১ |
সুড়ভী লঞ্চ | ০১৭১৮৪৫৩৯৮৯৯ |
এমভি কির্তনখোলা | ০১৭৭৮৭৮৬৯৫৪ |
সিরাজদিখান লঞ্চ | ০১৭১১৩৩০৬৪২ |
পারাবত লঞ্চ | ০১৭১১৩৩০৬৪২ |
ডিপ্রাজ লঞ্চ | ফেরিঘাটে সরাসরি যোগাযোগ |
লঞ্চের সুবিধা
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য লঞ্চ এক আদর্শ বিকল্প। এর কিছু সুবিধা হল:
- আরামদায়ক যাত্রা: লঞ্চের কোচগুলো সাধারণত আরামদায়ক এবং যাত্রা উপভোগ্য। এছাড়া, অনেক লঞ্চে খাবারের ব্যবস্থাও থাকে।
- বিকল্প: কুয়াকাটায় যাওয়ার জন্য বাস এবং লঞ্চ দুটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিদ্যমান।
- নিরাপত্তা: লঞ্চের সুরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত এবং বিভিন্ন রুটের জন্য চালকদের প্রশিক্ষণ রয়েছে।
টিকিট বুকিং
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য টিকিট বুকিং বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে:
- অনলাইনে বুকিং: আপনি বিভিন্ন লঞ্চ কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে টিকিট বুক করতে পারেন।
- কাউন্টার থেকে: এছাড়া, লঞ্চের কাউন্টার থেকেও সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করা যায়।
- স্মার্টফোন অ্যাপ: কিছু লঞ্চের নিজস্ব স্মার্টফোন অ্যাপ রয়েছে, যেখানে আপনি সহজেই টিকিট বুক করতে পারবেন।
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য লঞ্চে যাত্রা এক ভালো অভিজ্ঞতা হতে পারে যদি আপনি সময় এবং ভাড়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন। আপনার যাত্রা যেন নির্ভেজাল, সুরক্ষিত এবং আরামদায়ক হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না। লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া নিয়মিত পরিবর্তিত হতে পারে, তাই যাত্রার পূর্বে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করে নিন।
Leave a Reply